অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত পাঠ্যবইয়ের ভুল যাচাই-বাছাইয়ে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পেলে শাস্তিমূলক নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
নতুন পাঠ্যবইয়ে নানা ভুল ও অসঙ্গতি নিয়ে ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ক’ এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা বলেন। ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে কারও গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভুলগুলো যাচাই-বাছাই করতে আমরা দুটি কমিটি করেছি। স্বাস্থ্য, ধর্মীয়, পেশাগত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি, তারা যাচাই-বাছাই করবেন। কোথাও ভুল থাকলে নিশ্চয়ই সংশোধন করা হবে। কারো কোনো অস্বস্তি থাকলে তাও বিবেচনায় নেব।’
‘আরেকটি কমিটি…এনসিটিবিতে কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে থাকলে তা তদন্ত করবে। কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
আগামী রবিবারের মধ্যে কমিটি দুটির বিস্তারিত জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে কোনো ধরনের ধর্মীয় ও লিঙ্গ বিদ্বেষ যাতে না থাকে সেই চেষ্টা আমরা করেছি। আওয়ামী লীগ ধর্মবিরোধী কোনো কিছু করেনি। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ইচ্ছাও আমাদের নেই।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে সমালোচনার মধ্যে সম্প্রতি তিন বিষয়ের বইয়ে মোট নয়টি ভুল চিহ্নিত করে সংশোধনী দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বইগুলো হচ্ছে—নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, পৌরনীতি ও নাগরিকতা।
গেল শনিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পাঠ্যবইয়ের ভুলগুলো শনাক্তকারীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের নবম-দশম শ্রেণির তিনটি বইয়ে কিছু ভুল শনাক্ত হয়েছে। একটি তো একেবারে খুব বড় তথ্যগত ভুল বঙ্গবন্ধুর শপথ গ্রহণ বিষয়ে।’
Leave a Reply